এতেকাফ কী?

শরীয়তের পরিভাষায় এতেকাফের হাকিকত ও মূল মর্ম হলো, ইবাদত ও সওয়াবের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করা ও স্থির থাকা- যদিও তা এক মুহূর্তের জন্যও হয়। আল্লাহ তাআলার কাছে এতেকাফের অনেক বেশি সওয়াব রয়েছে। এতেকাফ মূলত তিন প্রকার।

১. ওয়াজিব এতেকাফ: এতেকাফের মান্নত করলে এতেকাফ ওয়াজিব হয়ে যায় কিংবা সুন্নাত এতেকাফ শুরু করার পর তা নষ্ট করে ফেললে তার জন্য কাযা এতেকাফ ওয়াজিব হয়ে যায়।

২. সুন্নাত এতেকাফ: রমজানের শেষ দশকের এতেকাফ হচ্ছে সুন্নাত এতেকাফ। এটাই আজকের আমাদের আলোচ্যবিষয়। এ সম্পর্কে মাসয়ালাসমূহ একটু পরে আসছে।

৩. নফল এতেকাফ: রমজানের শেষ দশক ছাড়া যে-কোনোসময়ে এতেকাফ করাকে ‘নফল এতেকাফ’ বলে। চাই বেশি সময়ের জন্য হোক বা অল্প সময়ের জন্য হোক।

নফল এতেকাফকারীদের জন্য রোজা রাখা শর্ত নয় এবং কোনো সময়ও নির্ধারিত নেই; বরং নামাজ বা অন্য কোনো ইবাদতের নিয়ত করে নিলে সওয়াব পেতে থাকবে। চাই অল্প সময়ের জন্য হোক বা বেশি সময়ের জন্য হোক। রমজানের শেষ দশকে পূর্ণ দশ দিনের কম সময়ে অথবা পূর্ণ রমজানুল মোবারকের বা চল্লিশ দিনের এতেকাফ নফল এতেকাফের মধ্যে গণ্য হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করলে এতেকাফের নিয়ত করে নেওয়া মুস্তাহাব। এতে করে মুসল্লির আমলনামায় অধিক হারে সওয়াব লেখা হয়ে থাকে।

এমনিভাবে নামাজের পূর্বে যখনই মসজিদে অবস্থান করতে থাকে বা নামাজের পর মসজিদে কিছুক্ষনের জন্য বসে থাকে তখন এতেকাফের নিয়তে বসে থাকলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এমনিভাবে দ্বীনি তালীম, ওয়াজ-নসীহত, ইসলামি আলোচনা ও কিতাবাদী পড়ার জন্য যখন মসজিদে প্রবেশ করবে তখন এতেকাফের নিয়ত করে নেওয়া মুস্তাহাব। এ নফল এতেকাফও আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভের সুন্দরতম মাধ্যম হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *