কখন সালাম দেওয়া যাবে ও কখন যাবে না

প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সালাম দেওয়ার সঠিক নিয়ম অর্থাৎ কোন সময় সালাম দেওয়া যাবে এবং কোন সময় সালাম দেওয়া যাবে না? জানালে উপকৃত হব।

উত্তর: সালাম দেওয়া সুন্নত এবং উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে না, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বাতলে দেব, যা করলে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসবে? তারপর তিনি বললেন, তোমরা বেশি বেশি করে সালামকে প্রসার কর। (মুসলিম)

তবে সব ইবাদতের মত সালামেরও কিছু আদব-কায়দা আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্র এমন আছে যে সব ক্ষেত্রে সালাম দেওয়া মাকরূহ। অর্থাৎ নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে সালাম দেওয়া মাকরূহ। এ ছাড়া বাকী যাদের সঙ্গে দেখা হবে, তাদের সালাম দেওয়া সুন্নত ও বৈধ।

১) নামাজ পড়া অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

২) কুরআন তিলাওয়াত করা অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

৩) জিকির ও মোরাকাবায়রত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

৪) খাবার খাওয়া অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

৫) হাদিস-ফিকাহ বা অন্যান্য তালীমি মজলিসে মশগুল এমন অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

৬) ওয়াজ ও নসীহত শুনা অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

৭) বিচারক বিচার কার্যে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় সালাম দেওয়া উচিত নয়।

৮) আযানরত, ইকামতরত কিংবা পাঠদানরত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

৯) অপরিচিত যুবতী নারী (যাদের সালাম দেওয়াতে ফিতনার আশংকা থাকে) তাদের সালাম দেওয়া কোনক্রমেই উচিত নয়।

১০) যারা দাবা খেলায় মগ্ন তাদের ও তাদের মত (অন্য খেলায়) মত্ত লোকদের সালাম দেওয়া উচিত নয়।

১১) যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে খেল-তামাশায় মগ্ন তাকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

১২) অমুসলিমকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

১৩) ইস্তিঞ্জারত অবস্থায় অথবা সতরবিহীন অবস্থায় থাকলে ওই ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *