রাস্তাঘাটে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা-পয়সা বা অন্য কোনো জিনিসপত্রের মূল্য যদি এতই কম হয় যে মালিক তা অনুসন্ধান করবে না, তা হলে কোনো গরিব মানুষকে তা সদকা করে দিতে হবে আর যদি অনেক টাকা বা মূল্যবান কোনো বস্তু পাওয়া যায় এবং মালিক এর খোঁজে থাকবে বলে মনে হয়, তাহলে ওই স্থান ও আশপাশ এবং নিকটবর্তী জনসমাগমের স্থানে এক বছর পর্যন্ত টাকা পাওয়ার ঘোষণা দিতে থাকবে এবং প্রকৃত মালিক পাওয়া গেলে তাঁর কাছে তা হস্তান্তর করতে হবে।
ঘোষণাটি এমন স্থানে হতে হবে, যেখানে ঘোষণা দিলে তা মালিকের কাছে পৌঁছাবে বলে প্রবল ধারণা হয়। বিশেষ করে যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ঘোষণা দেওয়া উত্তম। কারণ সাধারণত সম্পদ হারানোর পর সম্পদের মালিক সেখানেই খুঁজে থাকে, যেখানে সে তা হারায়।
আর উদ্ধারকারীর কখনোই উচিত নয় ওই বস্তু নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা। উদ্ধারকারী যদি আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনো বস্তু বা প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণে অর্থ ব্যয় করে, তাহলে সে স্বেচ্ছাদানকারী বলে গণ্য হবে। কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসের যদি কোনো বৃদ্ধি বা লাভ হয়, তাহলে তাও প্রকৃত মালিককে দিয়ে দিতে হবে। (হেদায়া: ২ / ৪১৭; কানযুদ দাকায়েক: ৩৯৩)
ঘোষণার পর যদি দৃঢ়বিশ্বাস হয় যে মালিক তা আর খুঁজতে আসবে না, তাহলে তা গরিবদের মধ্যে সদকা করে দেবে। মসজিদেও দান করে দেওয়া যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ৬ / ৪৪৪, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া: ৯ / ১৯৩)